কিশলয় বিদ্যা ভবন প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালে, একটি লক্ষ্য নিয়ে যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও সর্বাঙ্গীন বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে। আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উন্নততর ও সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ ও মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন করা যাতে তারা জীবনের সব ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারে।
মানসম্মত শিক্ষা:- আমরা শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষকরা প্রতিনিয়ত তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেন।
সর্বাঙ্গীন বিকাশ: শুধুমাত্র শিক্ষায় সীমাবদ্ধ না থেকে, আমরা শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক বিকাশের ওপরও গুরুত্ব দিই। আমাদের পাঠ্যক্রমে খেলাধুলা, সংস্কৃতি, এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে।
আধুনিক সুবিধা: আমাদের স্কুলে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সুবিধাজনক পরিকাঠামো রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের একটি উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ প্রদান করে।
মুক্ত পরিবেশ: আমরা শিক্ষার্থীদের মুক্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করি যেখানে তারা নিজেদের মতামত ও চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে পারে।
কিশলয় বিদ্যা ভবন অঙ্গীকারবদ্ধ শিক্ষার্থীদের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে পরিচালিত করতে, যেখানে তারা শুধুমাত্র একাডেমিক জ্ঞান নয়, বরং জীবনের সমস্ত দিকেই সাফল্য অর্জন করতে পারে। আমাদের বিদ্যালয় একটি শিক্ষার আলোয় আলোকিত স্থান, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে বিকাশ করতে পারে।
কিশলয় বিদ্যাভবনে আমার শিক্ষাজীবনের সূচনা নব্বইয়ের দশকের শেষে। খুব কম সময়ের মধ্যে আমি স্কুল ছেড়ে চলে গেলেও আমার জীবনের কিছু অমুল্য স্মৃতি কিশলয় বিদ্যাভবনকে ঘিরে এখনো জীবিত। আজ ছাত্রজীবনের প্রায় সমস্তটাই পেরিয়ে এসে যখন পেছন ফিরে তাকাই, একগুচ্ছ ভালোলাগা, স্নেহ, বন্ধুত্ব ঘিরে ধরে আমায়। আমি পড়াশোনায় প্রথম দিকে থাকলেও, খেলাধুলায় ছিলাম বড্ড কাঁচা। আর প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শেষে, সবকিছুতেই শুন্য পেয়েও, একটা সান্ত্বনা পুরষ্কার নিয়ে বাড়ি ফিরতাম আমি, আর আমার মতন সব কাঁচা খেলোয়াড়রা। বড্ড সহজে শিখে গেছিলাম, পুরষ্কার পাওয়া নয়, অংশগ্রহণ করাটাই বড় কথা। কিশলয় বিদ্যাভবন আমার কাছে কেবল স্কুল ছিল বললে ভুল করা হবে। প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে আমি কৃতজ্ঞ সবকিছুর জন্যে।
একটা ঘটনা না বললে আমার কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আমি স্কুল ছেড়ে দেওয়ার প্রায় এক বছর পর একদিন আমার বাড়িতে একটা গল্পের বই হাজির। জানতে পারলাম, স্কুলের পক্ষ থেকে আমাকে ওটা উপহার দেওয়া হয়েছে।
সুন্দর শৈশব উপহার দেওয়া মুখের কথা নয়। কিশলয় বিদ্যাভবন বিগত কয়েক দশক ধরে নিরলস পরিশ্রমে করে চলেছে নিঃশব্দে। আশা করি ভবিষ্যতেও এভাবেই কাজ করে যাবে মানুষ গড়ার কারিগরেরা।
Our Kishalaya Vidya Bhavan, established in 1993, focuses on holistic development, nurturing students in both academics and personal growth.
© 2025 Created with Kishalaya Bidya Bhavan